মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারীখালী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ রবীন্দ্রনাথ কর্মকার (৫৬) নামের একজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া। জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর দেড় টায় কুমারখালী থানাধীন কোড়াপাড়া লেন, এলঙ্গী পাড়াস্থ এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার একটি টিম অভিযান চালায়। এসময় রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের বাড়ি থেকে ১০০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহরবীন্দ্রনাথ কর্মকারকে আটক করে। আটককৃত রবীন্দ্রনাথ কর্মকার (৫৬) কুমারখালী উপজেলার ২ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত শম্ভুনাথ কর্মকারের ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া কার্যালয় “ক” সার্কেল’র পরিদর্শক মোঃ বেলাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রবীন্দ্রনাথ কর্মকার (৫৬), পিতা-মৃত শম্ভুনাথ কর্মকার, মাতা- মৃত যমুনা রাণী কর্মকার, সাং- কোড়াপাড়া লেন, এলঙ্গী, কুমারখালী পৌরসভা, ওয়ার্ড নং- ০২, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া নিজ বসতঘরে মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট
বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করছে। উক্ত সংবাদ যাচাই পূর্বক বিভাগীয় এস.আই মোঃ তরিকুল ইসলাম, এ.এস.আই মোঃ হোসেন আলী, সর্বসিপাই আব্বাস আলী, মামুন রহমান, মোঃ রাশিদুল ইসলাম এদের সমন্বয়ে একটি
অভিযানিক দল গঠন করে সরকারি গাড়ীযোগে কুমারখালী থানাধীন কোড়াপাড়া লেন, এলঙ্গী পাড়াস্থ আসামীর নিম্ন দখলীয় দক্ষিণ ভিটি উত্তর দুয়ারী ০৩ (তিন) কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা বসতঘর সময় দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় ঘেরাও
করি। করি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী ১। মোঃ সুমন (৪৩), পিতা-মৃত আমিরুল ইসলাম, ২। মোঃ জহুরুল ইসলাম (২৮), পিতা- মোঃ আকমল হোসেন, উভয় সাং- এলঙ্গীপাড়া, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়াম্বয়কে সঙ্গে নিয়ে
ঘেরাওকৃত বসতঘরে প্রবেশ করি। উক্ত বসতঘর বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে বসতঘরের মাঝের কক্ষের মধ্যে টেবিলের ড্রয়ারের মধ্যে একটি পলিথিনের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাভল ট্যাবলেট, ১০০ (একশত) পিস, মোট ওজন- ২৭.৫ (সাতাশ দশমিক পাঁচ) গ্রাম, সময় দুপুর ১৩.১৫ ঘটিকায় উদ্ধার ও জন্ম করি।
– ঘটনাস্থল হতে আসামীকে গ্রেপ্তার করি।
গ্রেফতারকৃত ও এজাহারভুক্ত আসামী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার (৫৬) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তার নিজ দখলীয়
বসতঘরে মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংরক্ষণ করার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ সনের ৩৬
(১) সারণী ২৯ (ক) ধারায় আপনার থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অনুরোধ করা হলো। মামলাটি অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। আলামত বিভাগীয় হেফাজতে আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করণের জন্য কোর্ট ফরোয়ার্ডিং সহ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।